গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার দায়ে শাশুড়ি ও শ্বশুরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলো পুরুলিয়া জেলা আদালত। ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরে সোনারী থানা এলাকার বাসিন্দা প্রতিমা দাসের বিয়ে হয় বলরামপুর থানার রাফকাটা গ্রামের বাসিন্দা ভাস্কর দাসের সঙ্গে ২০১০ সালে। বিয়ের পর থেকে পনের দাবিতে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করতো শ্বশুড় বাড়ির লোকজন।২১.০১.১৩ তারিখে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২২ তারিখ প্রতিমাকে জামশেদপুরের টাটা মেন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।২৬ তারিখ তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে পুলিশ ও হাসপাতালের চিকিৎসককে মৃত্যুকালীন জবানবন্দি দেয়। তাতে শ্বশুর শ্যামসুন্দর দাস, শ্বাশুড়ি সন্ধ্যা রানী দাস ও শ্বশুরের মা চম্পা রানী দাসের বিরুদ্ধ কেরোসিন তেল ঢেলে দিয়ে আগুন লাগানোর অভিযোগ করে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধ ৪৯৮A ৩০২ ও ৩০৪B ধারায় মামলা করে বলরামপুর থানার পুলিশ। মামলা চলকালীন ঠাকুমা চম্পারানী দাসের মৃত্যু হয়। আজ এডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সেশন ৩ নম্বর কোর্ট শ্বশুর শ্যামসুন্দর দাস ও শাশুড়ি সন্ধ্যারানী দাসকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দেন ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৫ মাস সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।