পুরুলিয়া : মোষের রক্ত দিয়ে লেখা পুঁথি কে মা চন্ডী রূপে দুর্গা পুজো করে আসছেন পুরুলিয়া জেলার পাড়া ব্লকের অন্তর্গত আনারা গ্রামের চক্রবর্তী পরিবার। ।কাশিপুর পঞ্চকোট রাজ বংশের দেবীর দুর্গাপূজাকে অনুসরণ করেই জিতাষ্টমী পরের দিন কৃষ্ণ নবমীর দিন থেকেই শুরু হয় পুজো। কথিত আছে প্রায় হাজার বছর আগে মধ্য প্রদেশ থেকে পঞ্চকোট রাজাদের রাজগুরু হিসাবে এসেছিলেন চক্রবর্তীর পরিবারের সদস্যরা । পরিবারের সদস্য বানেশ্বর ব্রহ্মচারী মোষের রক্ত দিয়ে তালপাতা ও ভোজ্য পত্রিকাতে মা চন্ডীর তেরোটি অধ্যায় লিখেছিলেন। উনার লেখা সেই পথিকে চন্ডী রূপে প্রায় পাঁচশো বছর আগে থেকে পুজো করে আসছে চক্রবর্তী বাড়ির সদস্যরা। একসময় গ্রামের চক্রবর্তী পরিবারের মাটির বাড়িতে পূজিত হতেন মা চন্ডী। তবে আজ চক্রবর্তী পরিবার মন্দির নির্মাণ করে বিশেষ কাঁচের বাক্সের মধ্যে সিংহাসন বানিয়ে এই পুঁথি টি কে সংরক্ষিত রেখেছেন। এই পুজোতে পরিবারের মহিলাদের মায়ের পুষ্পাঞ্জলীর রীতি নেই। পরিবারের সদস্য গৌতম চক্রবর্তী জানান পরিবারের পূর্বপুরুষ বানেশ্বর ব্রহ্মচারীর মোষের রক্ত দিয়ে লেখা পুথি মা চন্ডী রূপে এখানে পুজো হয়ে আসছে। কৃষ্ণ নবমীর দিন থেকে পুঁথি টি কে কাচের বাক্স থেকে বার করে বেদির উপরে রেখে পুজো শুরু হয় নবমীর দিন পর্যন্ত মায়ের এখানে বিশেষ পূজা করা হয়। মাকে এখানে নিরামিষ ১৩ দিন নিরামিষ ভোগ প্রদান করা হয়। এখানে বেল্লি বরণের প্রথা নেই , পরিবারের প্রাচীন নিয়ম অনুযায়ী এখানে ঘট স্থাপিত হয় না,নেই এখানে দুর্গার মূর্তি। পুথি পূজিত হন মা চন্ডী রূপে। হয় না এখানে সন্ধিপুজো তার স্থানে ৬৪ যোগিনী পুজো করেন চক্রবর্তী পরিবারের সদস্যরা। দশমীর দিন জিওল মাছ পুড়িয়ে ও পান্তাভাত দিয়ে মাকে বিদায় জানানো হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here