পুরুলিয়া : প্রতিমার সঙ্গে পুজো পায় তরবারিও, জোড়বেড়িয়ার রায় পরিবারের দুর্গাপুজোয়।
ব্রিটিশদের হাত থেকে রাজাকে রক্ষা করতে না পারার ক্ষোভে,দুঃখে অস্ত্র ত্যাগ করেছিলেন পঞ্চকোট রাজবংশের সেনাপতি হারাধন রায় । অস্ত্র ত্যাগ করলেও নিজের প্রিয় অস্ত্রটিকে ভূলতে পারেননি হারাধন,তাই সেই সময় দুর্গাপ্রতিমার কাছে তরোয়াল নামিয়ে দুর্গাপূজা পুজো করতেন নিজের তরোয়ালটিকেও.সেই থেকে শুরু পাড়া ব্লকের জোড়বেড়িয়া গ্রামের রায় পরিবারে চলে আসছে সেই প্রথা।বাংলার ১১২৬ সালে রাজার অনুমতি নিয়ে মূর্তি পুজা শুরু করেছিলেন হারধান রায়,এই বছর তাঁর পরিবারের পুজো পা দিচ্ছে 252 বছরে।জোড়বেড়িয়ার রায় পরিবারের আদি বাসস্থান অবশ্য বর্ধমান জেলার মনপুর গ্রামে,এই বংশের পদবী আগে ছিল পাঁজা.পরে পঞ্চকোট রাজবংশের রাজা নীলমনি সিংহদেও রায়বাহাদুর পদবী দিয়েছিলেন.কালক্রমে সেই পদবী এখন রায় হয়েছে.বংশের ইতিহাস অনুযায়ী রায় পরিবারের বংশধর দের পঞ্চকোট রাজবংশের রাজা গড়ুরনারায়ন সিংহদেও বর্ধমানের মনপুর গ্রাম থেকে নিজের রাজ্যে এনেছিলেন যোদ্ধা শুকদেব পাঁজাকে,পরে তাকে সেনাপতি পদে নিয়োগ করে জোড়বেড়িয়া মৌজারর একাংশ দান করেছিলেন.তবে রায়বাহাদুর উপাধি পেয়েছিলেন প্রভাকরের চতুর্থ পুরুষ হারাধন রায়.বংশানুক্রমিকভাবে এই পরিবার পঞ্চকোট রাজবংশে সেনাপতির দায়িত্ব সামলেছে বলে দাবি পরিবারের।