দেশ ব্যাপী ভারত বন্ধ সহ ৩০টি দাবিতে বামফ্রন্ট ও তার সহযোগী দল গুলির ডাকে আজ জেলাসাশকের কাছে ডেপুটেশন।
শহরের জুবলী ময়দান থেকে মিছিল বের হয়। উপস্থিত ছিলেনসারা ভারত ফরওয়ার্ড ব্লক বাংলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নয়ন চট্টোপাধ্যায়, সিপিআইএম জেলা সম্পাদক প্রদীপ রায়, আরএসপির জেলা সম্পাদক অতি চৌধুরী, ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা মিহির মাঝি, নিশিকান্ত মেহেতা সহ অন্যান্যরা। তাদের দাবি খাদ্য-স্বাস্থ্য-দাবি, ফোনের মাধ্যমে বিনামূল্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ ও মূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে, সর্বনাশা কৃষি বিল বাতিল,লকডাউনের পূর্বে বিদ্যুৎ বিল ও বিদ্যুতের দাম কমাতে, কাজ হারা গরীব ও মধ্যবিত্তদের পরিবার পিছু ১০০০০ টাকা অনুদানের দাবিতে এই মিছিল করে। মিছিল শেষে তারা শহরের ট্যাক্সি স্ট্যান্ড এ একটি সভা করেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে সারা ভারত ফর ব্লক বাংলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় বলেন নেতা পরিবর্তনের ধর্মঘট নয় এটা আমার দেশটা থাকবে কিনা আমার চাষাবাদ আমার কাছে থাকবে কিনা কৃষি ক্ষেত্র আমার হাতে থাকবে কিনা আমার বিক্রি করার অধিকার থাকবে কিনা এটার উপর আঘাত এসেছে। বড়ো বড়ো কোম্পানিরা যে চাষ করতে বলবে সেই চাষ করতে হবে। পরাধীন ভারতে এই আইন এসে ছিলো দেশে মীরজাফররা এই দেশে আবার সেই আইন এনেছে তার বিরুদ্ধে আমাদের ২৬ তারিখের বন্ধ সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন। সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অমিও পাত্র বলেন তৃণমুল কংগ্রেস ও বিজেপি কর্মীদের কাছে জানতে চাই এই অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আপনাদের প্রয়োজন হয় না? সাধারন মানুষের প্রয়োজন হয় না? কি এমন কারণ হলো এই গুলো অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নয়? য মানেটা দাড়ালো এই এখন থেকে যতখুশি চাল মজুদ করুন তাকে ছোঁয়া যাবে না। কালোবাজারি হবে মুনাফা হবে কোনো আইনে কোনো পুলিশ কিছু করতে পারবেনা। কি এমন প্রয়োজন হলো নরেন্দ্র মোদি যে এই আইন আনতে হলো? আসলে ভোটের আগে যে কর্পোরেট হাউস গুলোর কাছে টাকা নিয়েছিলো তাদের সুবিধার জন্য এই আইন এনেছে নরেন্দ্র মোদী তাই আগামী ২৬ শে নভেম্বর সারা দেশ ব্যাপী বন্ধ সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন।