শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে ডিএম ঘেরাও

অবিলম্বে পুরুলিয়া জেলার স্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগ করে পঠন-পাঠন স্বাভাবিক করার দাবিতে আজ 15 জুলাই ডিএম ঘেরাও করল ছাত্র সংগঠন AIDSO. দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ থাকার ফলে এমনিতেই জেলার বহু স্কুল ধুঁকছে। ঠিক এরকম সময়ে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ রেখে সরকার শিক্ষকদের বদলির নতুন নীতি চালু করায় পুরুলিয়া জেলার প্রায় এক হাজার শিক্ষক বদলি নিয়েছেন । যার পরিণতিতে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা ভয়ঙ্কর সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। বাগমুন্ডি, ঝালদা, বরাবাজার, বান্দোয়ান, বলরামপুর, কোটশিলা, জয়পুর ব্লকের বেশিরভাগ স্কুলে একাদশ দ্বাদশ শ্রেণীতে পঠন পাঠন প্রায় বন্ধ। বিজ্ঞান বিভাগ গুলো বন্ধ ।সমস্ত গার্লস স্কুল গুলো তে প্রয়োজনীয় শিক্ষিকা নেই । জুনিয়ার স্কুলগুলিতে শিক্ষক 0 কোথাও একজন বা দুজন শিক্ষক। বাগমুন্ডি ব্লকের বীরগ্রাম হাই স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী 1800 যেখানে শিক্ষক 2 জন। বাগমুন্ডি গার্লস এ 1100 জন ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষিকা 2 জন। ঝালদা হাই স্কুলে 2700 ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষিকা 12 জন এরকম ভয়াবহ অবস্থা বেশিরভাগ স্কুলের। এই সমস্যার দ্রুত সমাধানের দাবিতে AIDSO ডিএম ঘেরাও করে। তারা জুবিলি ময়দান থেকে একটা সুসজ্জিত মিছিল শহর পরিক্রমা করে ডিএম অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে ডিএম অফিসের মেনগেট ঘেরাও করে রাখে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা। বিভিন্ন স্কুলে করুণ চিত্র তুলে ধরা হয়। বিক্ষোভ সভায় সংগঠনের রাজ্য সভাপতি শামসুল আলম বক্তব্য রাখেন । তিনি বলেন এই সমস্যা শুধু পুরুলিয়া জেলার নয় গোটা রাজ্যে শিক্ষকের অভাবে স্কুলগুলি ধুঁকছে ।তিনি জেলায় আরো জোরদার আন্দোলনের আহ্বান জানান। তারপর জেলা সম্পাদক বিকাশ রঞ্জন কুমার এর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল ডিএম এর কাছে ডেপুটেশনে যায়। ডিএম অনুপস্থিত থাকায় এডিএম(জি) ডেপুটেশন গ্রহণ করেন। তিনি বলেন এই সমস্যা নিয়ে আমরা অবগত। তিনি তাদের দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় এক সহস্রাধিক ছাত্র-ছাত্রী ঘেরাও কর্মসূচিতে শামিল হয় । দাবি পূরণ না হলে জেলায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here