চলতি বছরের 30 জুন রাতে হুল দিবসের দিন মানবাজার এক নম্বর ব্লকের
কাদলাগোড়া গ্রামে সাঁওতাল বিদ্রোহের নায়ক শহীদ কানু মুর্মুর মূর্তি ভেঙে দেয় বিজেপি বলে অভিযোগl পরের দিন সকালে কাদলাগোড়া জুনিয়র হাই স্কুলে থাকা ওই মূর্তি ভাঙাচোরা অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় l তারপর ওই গ্রামের ষোলো আনার কাছে ওই গ্রামেরই এক বিজেপি কর্মী এই মূর্তি ভাঙার কথা স্বীকার করে l ওই ষোলো আনা সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত বিজেপি কর্মী গ্রেফতার হন l এরপরই পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলনে নামে l পুরুলিয়া জেলা পরিষদ সিদ্ধান্ত নেয়, তারা সকল স্তরের মানুষজনকে নিয়ে ওই দুই শহীদের মূর্তি বসাবে l এই মূর্তির শহীদ বেদিতে মাটি দিতে রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ বিভাগের রাষ্ট্র মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে একাধিক আদিবাসী গ্রাম থেকে কাঁখে ঝুড়ি নিয়ে মাটি সংগ্রহ করেন l সেই মাটি শহীদ বেদিতে দেওয়া হয় l স্বাধীনতা দিবসে শনিবার ওই দুই শহীদের পূর্ণায়ব মূর্তির আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করলেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দোপাধ্যায়l তিনি নিজে এই মূর্তি গড়ার অর্থ দেন l এদিন মূর্তি স্থলে পতাকা উত্তোলন হয়l মূর্তি উন্মোচনের সময় সকলের হাতে হাতে ছিল জাতীয় পতাকা l বেজে ওঠে ধামসা l দুই শহীদকে জানিয়ে আওয়াজ ওঠে, ‘সিধু-কানু জিৎকার’l কোভিড পরিস্থিতিতে এদিন মাস্ক বিলি করে স্বাস্থ্য বিধি মেনে এই অনুষ্ঠান হয় l অনুষ্ঠানে ছিলেন অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ বিভাগের রাষ্ট্র মন্ত্রী সন্ধ্যারানী টুডু, পুরুলিয়া জেলা পরিষদের শিক্ষা-সংস্কৃতি-তথ্য-ক্রীড়া স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ গুরুপদ টুডু, বান্দোয়ানের বিধায়ক রাজীবলোচন সোরেন, সহ-সভাধিপতি প্রতিমা সোরেন, মানভূম কালচারাল একাডেমির সভাপতি হংসেশ্বর মাহাতো, সমাজকর্মী নবেন্দু মাহালী, সুশান্ত মাহাতো ও জেলা পরিষদের সদস্যরা ।