শেষ পর্যন্ত নিতুড়িয়া রানীপুরে খাদানে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী যুবতী সুষ্মিতা গোপের দেহ উদ্ধার নিয়ে আশঙ্কাই থেকে গেল। NDRF এর দলও কার্যত ব্যর্থ হল দেহ উদ্ধার করতে।
শুক্রবার নিতুড়িয়া থানার রানীপুর এলাকায় একটি পরিত্যক্ত খাদানে ঝাপ দিয়ে আত্মঘাতী হয় স্থানীয় যুবতী সুষ্মিতা গোপ। তার বিয়ের জন্য টাকা যোগাড় করতে বাবা অসমর্থ হচ্ছিল। আর তাই সেই গ্লানি থেকেই ওই যুবতী পরিত্যক্ত খাদানে ঝাপ দেয়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক খনিকর্মী গোটা ঘটনার কথা এলাকাবাসীদের জানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ইসিএলের মাইন্স রেসকিউ টিম। তারা ব্যর্থ হয়ে ফিরে যায়। এরপর বিপর্যয় মোকাবিলা কেন্দ্রও ওই যুবতীর দেহ তুলতে পারেনি। প্রায় ৭০০ ফুট গভীর রয়েছে ওই পরিত্যক্ত খাদান। যাতে জল ভর্তি হয়ে আছে। শনিবার সন্ধ্যায় NDRF এর দল আসে উদ্ধারকাজ চালাতে। NDRF এর সেকেন্ড ব্যাটেলিয়ান এর ইন্সপেক্টার চিন্ময় কার্তিকেয়নের নেতৃত্ব ২০ জনের দল শুরু করে উদ্ধার কাজ। গতকাল রাতে তেমন সুবিধে করা যায়নি। আজ সকাল থেকে খাদানের জমে থাকা জলে বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে আলোড়ন করা হয়। যদি দেহ পুরোনো জলের আবর্জনায় কোথাও ফেঁসে থাকে এই ভেবে। কিন্তু দেহ ভেসে ওঠেনি। শেষে ডুবুরি নামানো হয়। কিন্তু জলের গভীরে নামতেই খনির গ্যাসে অসুস্থ হয়ে যায় সে। কার্যত একপ্রকার হাত তুলে নেয় NDRF. ইন্সপেক্টার চিন্ময় কার্তিকেয়ন জানিয়েছেন, এই গভীর খনিতে নামা সম্ভব নয়। তিনি ওই যুবতীর পিতাকেও স্বান্তনা দেন। কিন্তু উপায়কিছু নেই। এখন দেহ যদি ভেসে ওঠে সেদিকেই তাকিয়ে পরিবার ও রানীপুরের বাসিন্দারা
Home খবর আনন্দ স্পেশাল সাতশ ফুট গভীর নেতুরিয়া রানীপুর খাদানে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী সুস্মিতা গোপের দেহ...