CAB ও NRC সমন্ধে অবগত করার জন্য রঘুনাথপুর শহরের মানুষদের দ্বারে দ্বারে গেলেন রাঘুনাথপুরের একদল যুবক যুবতী ও মহিলা।

তারা হ্যান্ডবিল এর মাধ্যমে এই প্রচার চালান। তাদের হ্যান্ড বিল এ লেখা ছিলো। নিম্ন লিখিত:-

প্রশ্ন. CAB বিলটি কি ভারতীয় মুসলিমদের
নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে?
উত্তর: না,এটি নাগরিকত্ব দেওয়ার বিল। নাগরিকত্ব
কেড়ে নেওয়ার বিল নয়।

প্রশ্ন.CAB বিলটি তাহলে কাদের জন্য? ভারতে যারা
বসবাস করে তাদের জন্য নয়?

উত্তর: না, এই বিলটি ভারতীয়দের জন্য নয়।
পাকিস্তান, বাংলাদেশ বা আফগানিস্তান এই তিনটি
বর্ডার শেয়ারিং দেশে “ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত”
কোনাে সংখ্যালঘু(ওখানে সংখ্যালঘু মানেই
হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ,বৌদ্ধ,পার্সি,জৈন) যারা, ক্যাবের
সুযোগ নিয়ে ভারতে থাকতে পারবে।

প্রশ্ন : তার মানে “ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিতরা”।
ভারতে এলে সঙ্গে সঙ্গে ভারতের নাগরিক হয়ে যাবে?

উত্তর: না না, ৬ বছর ভারতে থাকার পর তবেই ওরা
ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবে।।

প্রশ্ন: আচ্ছা, পৃথিবীর সব হিন্দু খ্রিস্টান,
শিখ,বৌদ্ধ, পার্সী,জৈন তাহলে ভারতের নাগরিকত্ব
পাবে?

উত্তর: না না, শুধু ওই তিন দেশের ধর্মীয় কারণে।
অত্যাচারিত’ হিন্দু খ্রিস্টান, শিখ,বৌদ্ধ, পার্সী,জৈন ৬
বছর থাকলে নাগরিকত্ব পাবে। বাকি দেশের লোকদের
১১ বছর থাকার পর নাগরিকত্ব পাবে।
উত্তর: না না, শুধু ওই তিন দেশের “ধর্মীয় কারণে
অত্যাচারিত হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ,বৌদ্ধ,পার্সী,জৈন ৬
বছর থেকে নাগরিকত্ব পাবে। বাকি দেশের লােকদের
১১ বছর থাকার পর নাগরিকত্ব পাবে।

প্রশ্ন.ওই তিন দেশের মুসলিম নাগরিকরা তাহলে
ভারতের নাগরিকত্ব পাবে না?

উত্তর.হ্যাঁ, মুসলিম ও পাবে। ওই মুসলিমদের
১১ বছর ভারতে থেকে তবেই নাগরিকত্ব পাবে।
এমনিতেই 2014-2019 এর মধ্যে ওই তিন দেশের
566 জন মুসলমানকে ভারত সরকার নাগরিকত্ব
দিয়েছে।

প্রশ্ন : আচ্ছা যারা 2014 র আগে থেকে যারা ধর্মীয়
কারণে অত্যাচারিত” হয়ে বাংলাদেশ থেকে এসে
ভারতে বাস করছে তাদের কি আবার তাড়িয়ে।
দেবে??

উত্তর: না না, এই বিলটিতে স্পেশাল ভাবে ওই
নিপীড়িত মানুষদের জন্যই পাশ করা হয়েছে। যাতে
তারা এখন নিশ্চিন্তে এই দেশে বসবাস করতে পারে

প্রশ্ন :তবে অনেকে বলছে ডিটেনশন ক্যাম্পে রেখে
দেওয়া হবে। ওটা ভুল?

উত্তর: হ্যাঁ ওটা ভুল। CAB এর জন্য কাউকে
ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হবে না। আর এই ডিটেনশন।
ক্যাম্পের তথ্য সম্পূর্ণ ভুয়া। কিছু রাজনৈতিক
দল নিজেদের স্বার্থ চত্তিার্থ করার জন্য সাধারণ
মানুষকে এই ভয় দেখাচ্ছে। নিশ্চিন্তে থাকুক, কোনাে।
ভারতীয় ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হবে না।

দিনের এই প্রচারে নেতৃত্ব দেন কাজল কৃষ্ণ সিনহা,সঙ্গে ছিলেন সুকান্ত মন্ডল,মহেশ তেওয়ারী,সত্যজিৎ চৌধুরী,কিসন সহিস প্রমুখ রা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here