বিশ্বকর্মা পুজো মানে রেল শহর আদ্রার মানুষের কাছে দুর্গোৎসবের অন্য এক উৎসব। এই দিন আদ্রার নর্থ এবং সাউথ সাইডের দক্ষিন-পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের প্রতিটি বিভাগের আধিকারিক ও কর্মীদের উদ্যোগে মহাসমারোহে বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন করা হয়। দুর্গা পুজোর মতোই এখানেও মণ্ডপ এবং মূর্তির সজ্জায় প্রচলিত থিম সংস্কৃতির। এক এক বিভাগের এক এক থিম। শুধু আদ্রা মানুষ নন, ২-৩ দিন ধরে দূরদূরান্ত থেকে রেল শহর আদ্রায় এসে বিশ্বকর্মা পুজোয় সামিল হন একাধিক মানুষ। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে সবই যেন পাল্টে গেছে। থিম তো দুরস্ত পুজোর আয়োজন নিয়েও দ্বিধায় রয়েছেন আয়োজক বিভিন্ন বিভাগের কর্মীরা। কারণ তারা জানান, রেলের কয়েকটি বিভাগে থাবা বসিয়েছে করোনা। অনেক কর্মীই রোগাক্রান্ত। ফলে এই পরিস্থিতিতে উৎসবের চিন্তা তারা করতেও পারছেন না। তবে নিয়ম রক্ষার্থে বিভাগগুলিতে পুজো হলেও সেখানে কোনভাবেই তারা জন সমাগম করবেন না বলে জানিয়েছেন। প্রশাসনের নিয়ম মেনেই পুজোর আচারটুকুই মানা হবে। বিগত কয়েক বছর ধরে আদ্রার বাঙ্গালী সমিতি বিশ্বকর্মার সুবিশাল মূর্তি প্রদর্শনের জন্য পরিচিতি পেয়েছিল। এছাড়াও ছিল পুজোকে কেন্দ্র করে মিলন মেলার আয়োজন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তারাও সেই আয়োজনে রাশ টেনেছেন। ২১ ফুটের মূর্তির পরিবর্তে এবছর মাত্র ৫ ফুটের মূর্তিতেই পুজো সারবেন আয়োজকেরা। জন সমাগম এড়াতে হচ্ছে না মিলন মেলাও। শুধু আয়োজকেরাই নয়। কোভিড পরিস্থিতিতে বিপন্ন মূর্তি তৈরিতে নিয়জিত মৃৎশিল্পীরাও। তারা জানিয়েছেন, যে পরিমাণ মূর্তি গড়েছেন সেই তুলনায় বিক্রি হবে না কিনা তা নিয়ে সন্দিহান তারা।