অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর আদি বাড়ি হদিশ মিলল পুরুলিয়া জেলার বাগমুন্ডি থানা অন্তর্গত তুনতুড়ী গ্রামে।
কোভিড, করোনা, লকডাউন এই সবকিছুকে পেছনে ফেলে দেশের মানুষের নজর এখন  সুশান্ত রাজপুত এর আত্মহত্যার ঘটনার পেছনে কারা আছেন তার অনুসন্ধান পর্বে । অভিযোগের আঙুল উঠছে অনেকের দিকে। তদন্তের ভার নিয়েছে সিবিআই। অন্যতম অভিযুক্ত বাঙালি অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী।  যে রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে ছিল সুশান্ত রাজপুতের প্রেমের সম্পর্ক ।রিয়া চক্রবর্তীর আদি বাড়ি পুরুলিয়ার বাগমুন্ডির থানার তুনতুড়ী এলাকায়।আত্মীয় পরিজনেরা  এ ব্যাপারে মুখ খুলতে একেবারেই নারাজ। নারাজ ক্যামেরার সামনে আসতেও। যদিও এলাকার মানুষজন  মানতে চাইছে না ঘটনা।
                    পুরুলিয়ার বাগমুন্ডি এলাকার তুনতুড়ী গ্ৰাম। এখানে বারোটি মৌজার দেওয়ান ছিলেন চক্রবর্তীরা।  বাড়িতে 323 বছরের পারিবারিক দুর্গাপূজা। রয়েছে নাট মন্দির। রিয়া চক্রবর্তীর দাদু শিরিষ  চক্রবর্তী ছিলেন ধানবাদে কোলিয়ারি ম্যানেজার। সেখানেই তার বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী এবং কাকা মানুষ হন। পরবর্তীকালে বিভিন্ন জায়গায় তারা ঘুরেছেন। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন দুর্গাপূজায় ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা চক্রবর্তী পরিবারের গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক পুজায় আসতেন। কাটিয়ে যেতেন পুজোর চারদিন। এমনটাই জানিয়েছেন তুনতুড়ী গ্ৰামে থাকা চক্রবর্তী পরিবারের লোকজন। আজ থেকে কুড়ি বাইশ বছর আগে রিয়া চক্রবর্তীকে নিয়ে তুনতুড়ী গ্রামে এসেছিলেন তার বাবা। তখন রিয়ার ছোট ভাইয়ের জন্ম হয়নি। তারপর আর আসেননি। তাদের সে বাড়ি এখনো আছে। ভগ্নপ্রায়, চারিদিকে জঙ্গলে ভরা। পরিবারের কোনো সদস্য এই বিতর্কিত বিষয় নিয়ে একেবারেই মুখ খুলতে নারাজ। ক্যামেরায় ছবি তুলতে দিতেও রাজী হলেননা ।প্রতিবেশীরা জানিয়ে দিলেন রিয়া চক্রবর্তী দের পূর্বপুরুষরা এই গ্রামেরই।
অত্যন্ত বর্ধিষ্ণু এই গ্রাম তুনতুড়ী। আর এই এলাকার দেওয়ান হিসেবে এক সময় যথেষ্ট নামডাক, প্রতিপত্তি ছিল চক্রবর্তী পরিবারের।  উচ্চ শিক্ষিত সে পরিবারের সদস্যরা ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায় নানা সরকারি উচ্চ পদে কর্মরত। এই এলাকারই মানুষ প্রাক্তন সাংসদ  তথা তুনতুরি হাই স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক বীর সিং মাহাতো চক্রবর্তী পরিবার সম্বন্ধে বলতে গিয়ে বললেন তিনি ভাবতেও পারছেন না এমন পরিবারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠতে পারে।
বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ চক্রবর্তী পরিবারের এই প্রজন্মের মানুষজন। রয়েছে নাটমন্দির, রয়েছে ভগ্নপ্রায় বাড়ি, রয়েছে দূর্গা মন্ডপ। রয়েছে রিয়া চক্রবর্তীর বাবার অর্থসাহায্যে গড়ে ওঠা পারিবারিক দুর্গাপূজার ভাঁড়ার-ঘর। কিন্তু পরিবারের লোকজন থেকে শুরু করে গ্রামের মানুষ কেউ আর হিসাব মেলাতে পারছেন না।