হুড়া :- গত ২৩ নভেম্বর পুরুলিয়ার হুড়া ব্লকের লধুড়কার মাঠে সভা করেছিলেন বিজেপির রাজ্য কোর কমিটির সদস্য অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। সেই মাঠেই বৃহস্পতিবার পালটা সভা করলো তৃণমূল।
এদিনের সভায় বক্তা হিসাবে ছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র ও রাজ্য মন্ত্রীসভার সদস্য বাবুল সুপ্রিয়।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে চাঁছাছোলা ভাষাতেই মিঠুন কে আক্রমন করেন মহুয়া।বলেন,আমার জেলার সাংবাদিকরা আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলো আমি কি পুরুলিয়াতে মিঠুনের পালটা সভা করতে যাচ্ছি।আপনাদের বলছি রাজনীতিতে অনেক ওঠা পড়া আছে।কিন্তু আমার রাজনৈতিক জীবনে এত দুর্দশা আসেনি আমাকে মিঠুন চক্রবর্তীর পালটা সভা করতে আসতে হবে।
তারপরেই মিঠুনের উদ্দেশ্য কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে মহুয়া বলেন,মিঠুন চক্রবর্তী অনেক বড় অভিনেতা।জাতীয় সম্মান পেয়েছেন।ওনাকে সম্মান করি।কিন্তু উনি কোনদিন কি পঞ্চায়েত নির্বাচনে দাঁড়িয়ে জিতেছেন?। তাই ওনাকে বলছি যেদিন আপনি পঞ্চায়েতের কোন আসনে দাঁড়িয়ে জিতবেন।সেদিন আমি আপনার পালটা সভা করবো।
এদিকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের কয়লাঞ্চলের প্রাক্তন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় টেনে এনেছেন কয়লা মাফিয়াদের সাথে বিজেপির নেতাদের জড়িত থাকার অভিযোগের প্রসঙ্গ। বাবুল বলেন,
আসানসোলে কয়লা মাফিয়ারা আমাকে দেখে পালাতো।বাইকে চেপে গিয়ে কয়লার ট্রাক ধরতাম।কয়লা মাফিয়ারা পালিয়ে যেত।আমি গাড়ির চাবি নিয়ে চলে আসতাম
এই বিজেপি দুইদিন আগে কি করলো?।অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইট করেছে।আমিও ট্যুইট করেছি।আসানসোলের কুখ্যাত কয়লা মাফিয়াকে নিয়ে বিজেপির দুই বিধায়ক রাতের অন্ধকারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রলহাদ যোশীর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলো।এই প্রলহাদ জীর কাছেই ওই দুইজনের বিরুদ্ধে আমার অভিযোগের গোছা গোছা ফাইল জমা আছে।সেই ফাইল আমার কাছেও আছে।কিভাবে তারা ইসিএলের আধিকারিকদের ব্ল্যাকমেল করে বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা তুলেছে।
আমি তখন বলেছিলাম আসানসোলে এই সমস্ত জিনিষ চলছে।তখন কি করলো ভোটের আগেই তারা কয়লা মাফিয়াদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ালো।
এখানে এত দিন ধরে কেন্দ্রে চারজন মন্ত্রীকে বসানো হয়েছে।ব্যক্তিগত আক্রমন আমি করিনা।কিন্তু তাও বলছি অর্ধেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ফাইলই পড়তে পারেনা।তাদের কাজ হচ্ছে ফাইলে স্ট্যাম্প মেরে ক্যাবিনেট মন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া।এই বিতৃষ্ণাতেই আমি একটা সময় রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছিলাম।
বিজেপি বাঙ্গালীদের দল নয় দাবি করে বাবুল বলেন,যারা বিজেপিতে ছিলো।বাংলার জন্য যারা খেটেছে তাদের সাথেই বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।আমি নাম করবোনা।খেলার জগতের একজন বিখ্যাত মানুষ।বাংলার একজন কৃতী সন্তান।ওনার সাথেও কিন্তু বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে।অন্যের বড় বাবার ছেলেরা তারা সব মসনদে বসে যাবে।