বিয়ের ঠিক হয়েছিল। কিন্তু দরিদ্র পিতা মেয়ের বিয়ের জন্য টাকা জোগাড় করতে অসমর্থ হচ্ছিল।প্রতিদিন বাবার কষ্ট চোখের সামনে দেখেছিল বছর বিশেকের মেয়ে। বাবাকে এই কষ্ট থেকে মুক্তি দিতে এবং নিজের আত্মগ্লানি থেকে রেহায় পেতে বিবাহযোগ্যা সেই মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছেনিল।পুরুলিয়া নিতুড়িয়া থানার রানীপুর এলাকার সুষ্মিতা গোপ।
জানা গেছে রানীপুর এলাকার বাসিন্দা সুধীর গোপ খড় কাটার কাজ করতেন। হতদরিদ্র পরিবার। তার মেয়ে সুস্মিতা গোপের আগামী ২৭ জানুয়ারি বিয়ের ঠিক হয়েছিল। যার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় সেই ছেলেটিও সিআরপিএফে চাকরি করত। কিন্তু বিয়ের জন্য অনেক খরচ। এত টাকা কোথা থেকে জোগাড় করবেন তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে স্ত্রী মিতালী গোপের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন সুধীর বাবু। আর সেই আলোচনা শুনতে পায় মেয়ে সুস্মিতা। জানতে পারে তার বিয়ের জন্য বাবাকে খুব কষ্ট করে অর্থ যোগাড় করতে হচ্ছে। আর তাই সেই আত্মগ্লানি থেকে একটি পরিত্যক্ত খাদানে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে সুস্মিতা। ইসিএলের রেসকিউ টিম গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় গোটা রাণীপুর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
Home Uncategorized মেয়ের বিয়ের টাকা জোগাড় করতে বাবা সর্বশান্ত, কষ্ট দেখে আত্মঘাতী হলো নেতুরিয়ার...